ভোটের অধিকার গণতন্ত্রের একটি মৌলিক নীতি, যা নাগরিকদের তাদের দেশের শাসনব্যবস্থায় বলার সুযোগ দেয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে এই অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর দমন, নির্বাচনে কারচুপি এবং গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করার অভিযোগ রয়েছে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নিজস্ব নেতা নির্বাচন করার এবং তাদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পরিবর্তে, দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অস্থিতিশীলতায় জর্জরিত হয়েছে, যার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়ন হ্রাস পেয়েছে।
এসব বিষয়ের আলোকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ভোটের অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। একটি সমাধান যা প্রস্তাব করা হয়েছে তা হল ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ বাস্তবায়ন। এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যে নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার বহাল থাকবে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো পক্ষপাতিত্ব বা কারচুপি প্রতিরোধ করবে।
এটি একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেখানে জনগণের ম্যান্ডেট সত্যিকার অর্থে প্রতিফলিত হয়। এটি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির জন্য একটি সমান খেলার ক্ষেত্রও প্রদান করবে, তাদের সমান তালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেবে। এই ব্যবস্থা সফলভাবে অন্যান্য দেশে প্রয়োগ করা হয়েছে, এবং এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রক্ষা করার একটি কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
উপরন্তু, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি স্থায়ী, সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। এটি গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করার ভবিষ্যতের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে এবং জনগণের কণ্ঠস্বর সর্বদা শোনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখা ও রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব এবং এটি শুধুমাত্র একটি শক্তিশালী ও স্থিতিস্থাপক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা সীমিত করা। কেউ পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন না, কারণ এটি কোনো ব্যক্তি বা দলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে বাধা দেবে। এটি নেতৃত্বের আবর্তনের জন্যও অনুমতি দেবে, সরকারে নতুন ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি আনা নিশ্চিত করবে, যা উন্নত শাসন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে পরিচালিত করবে।
পরিশেষে বলা যায়, দুর্নীতির বিষয়ে কোনো আপস করা যাবে না। বর্তমান সরকার দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত, এবং এটি দেশের অগ্রগতিতে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছে। এটা অপরিহার্য যে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের তাদের কর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি যাতে প্রবেশ করা না হয় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থার সংস্কারের একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশের জনগণ তাদের কণ্ঠস্বর শোনার এবং তাদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করার যোগ্য। দুর্নীতিবাজ শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্বকারী সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পথ তৈরি করার সময় এসেছে। ‘নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠা করা, ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা সীমিত করা এবং দুর্নীতি নির্মূল করা সরকারের দায়িত্ব। তবেই আমরা সত্যি বলতে পারি যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
Please support us by visit and share your comments on: http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/
তুই একটা জারজ তাই পৃথিবীর সেরা প্রধান মন্ত্রীকে দুর্নিতিবাজ বলিস ।
তোর খালেদা মা তো পুরু দেশ খেয়ে খেলছিল।
বিদেশ পালাইয়া থেকে বড় বড় কথা । হালার পুত সাহস থাকলে দেশে আয়
মাদার চোদ তোর বিএনপি সরকারতো দুর্নীতিতে ছক্কা হাকাইছিলো
মাগীর পুত শেখ হাসিনা আমাদের মা । তুই তাকে দুর্নীতিবাজ বলিছ । তোর মরন আসন্ন
এক বাপের পোলা হলে দেশে আয় ।
আমাদের সরকার ও শেখ হাসিনা নিয়ে যে বিরুপ মন্তব্য করবে তারই গলাকাটা হবে
খানকির পোলা আমাদের হাত থেকে বিদেশে পালাইয়া থেকে ও রেহাই পাবিনা
তোর বিএনপি তো ক্ষমতায় ছিল । দেশের কি বালের উন্নতি করছে । সবই তো লুটেপুটে খাইছে।
লেখাটা চমতকার । এর বেশী কিছু বলতে সাহস করি না ।
এ দেশে আওয়ামিলীগ সরকারের বিরুদ্ধে বলে কেউ টিকতে পারে নাই – হয় পুলিশ হয়রানি, নয়তো গুম
ভাই বিএনপি’র সরকারও তো আমরা দেখেছি
মুদ্রার এপিঠ আর ও পিঠ
ভাই আপনার লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো কিন্তু বাংলাদেশে কি কোন নিরপেক্ষ লোক আছে যাদেরকে নিয়ে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে একটি সরকার গঠন করা যায়?
আমাদের দেশের রত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন যে বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে মারা যায় না সেটা তো চোখে পড়ে না