তারা সাংবাদিক মানাদন্ত পূর্ণ করে না; বরং তাদেরকে শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অনুসরণকারী হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রায়ই সরকারের “স্থায়ী সমালোচক” হিসাবে উল্লেখ করা হয়, অতীতে তাদের সমালোচনা এবং প্রতিবেদনের কারণে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন। শেখ কামাল, তার পিতার শাসনামলে, আহমদ সোফাকে মৌখিক গালিগালাজের শিকার করেছিলেন যা একটি সুশীল সমাজের জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছিল। এমনকি শেখ মুজিবের আমলেও সাংবাদিকরা যেকোনো দুর্ব্যবহারে প্রতিবাদ করতেন।

তবে, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি উল্টে গেছে। সাংবাদিকরা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা বা প্রতিবেদন করতে ভুলে গেছে বলে মনে হয়, এবং এই পরিবর্তন শুধুমাত্র সেন্সরশিপ, ভয়, আইন বা স্ব-সেন্সরশিপ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না।

তাহলে, এই পরিবর্তনের পেছনের কারণ কী? ডাঃ ত্রিনা ইসলামের সাথে জড়িত ঘটনাটি বিষয়টিকে স্পষ্ট করেছে। একাত্তর টিভির শাকিল আহমেদের মতো একজন সাংবাদিকের কথাই ধরুন, যার কাছে ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, এমন একটি অবস্থান নিশ্চিত করা যা বাংলাদেশের রোগবিদ্যা ইনস্টিটিউটের একজন সরকারি ডাক্তারকে স্থানচ্যুত করে!

পূর্ববর্তী প্রশাসনের সময় কোন সাংবাদিক এই ধরনের প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছেন? উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে? গত তেরো বছরে, শেখ হাসিনার সরকার কিছু মধ্যস্বত্বভোগী সাংবাদিককে বিভিন্ন চ্যানেলের মালিক হওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে এবং তাদের পরিচালনার জন্য কম দক্ষ সাংবাদিকদের ক্ষমতা দিয়েছে। তাদের প্রাথমিক ভূমিকা শেখ হাসিনার মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করা, এবং তারা অভূতপূর্ব স্বাধীনতা উপভোগ করছে বলে মনে হয়।

এই কারণেই ন্যূনতম সততার সাথে সাংবাদিকরা অসদাচরণে লিপ্ত হতে পারে এবং তাদের অন্যায় গোপন করার জন্য সরকারী ডাক্তারের পদ সুরক্ষিত করতে পারে।

মাহফুজ-আনিস-শাকিলকে অতীতে এমন কর্তৃত্ব কে দিয়েছে, ভবিষ্যতে কে দেবে? হাসিনার সমালোচনা করা হলে, ভেজাল ও চাঁদাবাজিসহ তাদের অপকর্মের নথি উন্মোচিত হলেই তার পরিণতি কল্পনা করা যায়। এসব সাংবাদিক কে পেটানো উচিত এরা সাংবাদিকতার নামে কলঙ্ক এরা আওয়ামী লীগের চাটুকার এরা শেখ হাসিনার পা চাটা কুকুর।বাংলাদেশের জনগণের উচিত এসব ভুয়া সাংবাদিকদের একটি গণধোলাই দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর উদাহরণ সৃষ্টি করা।

Please support us by visit and share your comments on:http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/