বাংলাদেশে পুলিশ ও আওয়ামী যৌথজোট একসঙ্গে বিরোধী দলের মত দমনে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছে ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, উগ্রপন্থা ও ফৌজদারি বিচার’ শীর্ষক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ মন্তব্য করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বাংলাদেশকে নিয়ে ৩৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পুলিশকে ‘বিরোধী মত দমনে’র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, নেতাকর্মীদের করা হচ্ছে বিচারের মুখোমুখি। অন্যদিকে, অধিকারকর্মীরা রয়েছেন উগ্রপন্থীদের হুমকির মুখে। আর শিথিল ফৌজদারি বিচারিক ব্যবস্থাপনার সুযোগে উগ্রপন্থী সংগঠনগুলো নতুন করে সুসংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে উগ্রতার ভয়াবহ রূপ।
বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশের পুলিশ, র্যাব, এলিট ফোর্স সর্বোপরি সব আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে দেশটির বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সমমনা শরিক দল নিয়ে গঠিত ২০ দলীয় জোটকে দমন করায় ব্যবহৃত হচ্ছে। পুলিশ আসল অপরাধীকে না ধরে ক্ষমতার প্রয়োগে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে জেলে ভরে ফেলছে বলে দাবি সংস্থাটির। মিথ্যা মামলার ডালা সাজিয়ে রাজনৈতিক বিচার মঞ্চ তৈরি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে দেশটির বিচারিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানুষ। এদিকে, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ‘বলপ্রয়োগ ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির’ কারণে সহিংস রাজনৈতিক দল ও উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোই সুবিধা পাচ্ছে বলে মনে করে অনেকেই। এ দেশের আইনশৃংখলা সংকটের মূলে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধী মতের দীর্ঘদিনের বৈরিতা। ‘রাজনৈতিক মেরুকরণের শিকার ও অকার্যকর ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায়’ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি গুরুত্বও পাচ্ছে না। দমননীতির কারণে একদিকে সরকারের কর্মকাণ্ডের ‘বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ’ হচ্ছে, অন্যদিকে এর মধ্য দিয়ে অন্য পক্ষকে সহিংস জবাব দিতে ‘উসকানি’ দেয়া হচ্ছে, যা কার্যত উগ্রপন্থীদেরই সুবিধা করে দিচ্ছে।
সরকারের এমন আচরণে উগ্রপন্থীদের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের মধ্যে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বেশ কয়েকজন মুক্তমনা ব্লগার ও বিদেশী নাগরিক হত্যা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। সরকারের উচিত হবে রাজনৈতিক সমালোচকদের টার্গেট করে দেশের বিচার বিভাগকে ব্যবহার না করা। বাংলাদেশের বহু সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ওপর অজস্র মিথ্যে মামলা দিয়ে শায়েস্তা করছে সরকার। সরকারের ইচ্ছাতেই মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদেশে ভিন্ন মত গলা টিপে ধরতে শেখ মুজিবের বাকশালের চেয়েও শেখ হাসিনা বেশি নৃশংসতার পরিচয় দিচ্ছে বলে দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে।
Please support us by visit and share your comments on:http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/
সরকার ঠিক করতেছে রাজাকার বিএনপি এই দেশে কোন স্থান নাই
তোর মত রাজাকার নরপশুদের এই দেশে কোনো স্থানে নেই । তোদেরকে ডাইরেক জবাই করা উচিত
তোদের মত দুর্নীতিবাজ , রাজাকার পাকিস্তানের দোসরদের এই দেশে বাঁচার অধিকার নাই
খানকির পোলা Rab তো তোদের সৃষ্টি ।
দেশে আয় তোরে Rab দিয়ে ক্রসফায়ার দেবো
বিএনপি রাজাকার জোট সরকারের চেয়ে এখন মানবিকতার অনেক ভালো
মাগির পুত ভুলভাল লেখা বন্ধ কর নাইলে তোরে জবাই করব
তোদের মত জানোয়ারদের তো বিচারের আওতাই আনা উচিত না ডাইরেক্ট গুলি করে মারা উচিত
বিদেশ থেকে তোর পাখনা গজাইছে মরার জন্য অপেক্ষা কর
তোর লেখার কারণে তোকে খুন করা হবে বিদেশে পালাইও মাপ পাবি না
তুই কি তোর মতামত প্রকাশ করতে পারছিস না? তুই তো স্বাধীনভাবে তোর লেখাগুলো পোস্ট করে যাচ্ছিস