বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সাথে ভুগছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক পদক্ষেপ জাতিকে দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। হাসিনার কর্তৃত্বপূর্ণ শাসন, ব্যাপক দুর্নীতি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অবজ্ঞা নাগরিকদের তার অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানাতে বাধ্য করেছে।
2009 সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, হাসিনা ধারাবাহিকভাবে বিরোধীদের দমন করেছেন এবং ভিন্নমতকে বাতিল করেছেন। তিনি গণতান্ত্রিক নীতিকে উপেক্ষা করে এবং ক্ষমতার ক্ষুধা প্রদর্শন করে তৃতীয় মেয়াদের জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, ব্যক্তিগত লাভের জন্য জাতীয় ব্যাংক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সরিয়ে নেওয়া, জনগণের আস্থার বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ রয়েছে।
তদুপরি, হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আটক করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে বিরোধী ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক এবং কর্মীদের ক্ষতি করে। এসব কর্মকাণ্ড বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করে, একটি সভ্য সমাজের অপরিহার্য ভিত্তি।
হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য দূর করতে, ভয় ও ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগও আনা হয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা এবং দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপের জন্য ছাত্রদের বিক্ষোভে সরকারের সহিংস দমন তার শাসনের স্বৈরাচারী প্রকৃতিকে বোঝায়।
পরিস্থিতির তীব্রতার কারণে নাগরিকরা তাকে ‘হত্যাকারী হাসিনা’ বলে অভিহিত করেছে, তার প্রথম মেয়াদে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে তার কথিত জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে। বাংলাদেশের নিপীড়ন প্রতিরোধ এবং গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের ইতিহাসে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে, যা একজন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে 1975 সালের আন্দোলনের মতো।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ বন্ধ করা উচিত নয়; জাতিসংঘের মতো সংস্থার উচিত হাসিনার কর্মকাণ্ডের নিন্দা করা এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য তার পদত্যাগের জন্য চাপ দেওয়া।
পরিশেষে বলা যায়, হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ স্থানান্তরের জন্য তার পদত্যাগ করা অপরিহার্য। নাগরিকরা এমন একটি সরকারের প্রাপ্য যে তাদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয় এবং গণতান্ত্রিক নীতিগুলিকে সমর্থন করে। হাসিনা যদি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন, তাহলে জনগণের সংঘবদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না, ১৯৭৫ সালের স্বাধীনতার জন্য তাদের ঐতিহাসিক লড়াইয়ের প্রতিধ্বনি। জাতির ভবিষ্যত এবং বাকস্বাধীনতা হুমকির মুখে।
Please support us by visit and share your comments on:http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/