নির্বাসিত বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্য দিয়ে বাংলাদেশে আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। লন্ডনে নির্বাসন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রহমান এই নির্বাচনকে ‘শাম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বাংলাদেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মধ্যে বিরোধের কারণে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে দণ্ডিত তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে আসছে বিএনপি। বিরোধীরাও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে, যা তারা দাবি করছে বর্তমান সরকার দিতে সক্ষম নয়।
এই উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিবেশে রহমানের বক্তব্য আগুনে ইন্ধন যোগ করেছে। তার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দল উভয়েরই। রহমানের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, বিএনপি রহমানের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে তার প্রত্যাবর্তন ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন বহু বছর ধরে একটি বিতর্কিত বিষয়। 2008 সাল থেকে তিনি নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন, যখন তিনি দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। ২০০৪ সালে একটি বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আইনি ঝামেলা সত্ত্বেও, রহমান বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের জন্য তাকে দলের একমাত্র ভরসা হিসেবে দেখছেন অনেকে। তার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন এবং প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা গ্রহণকে আওয়ামী লীগের এক দশকের শাসন ভাঙার উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে ক্ষমতাসীন দল ও সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রহমানের দেশে ফেরা সম্ভব নয়। তারা বলেছে যে তাকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে এবং যদি সে ফিরে আসতে চায় তার সাজা ভোগ করতে হবে। সরকারও রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনেছে।
আসন্ন নির্বাচন, 07-01-2024 তারিখে নির্ধারিত, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দল উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে চাইছে, অন্যদিকে ১৩ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পর বিএনপি আবারো ফিরে আসার আশা করছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সহিংসতার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও নির্বাচনটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এই প্রেক্ষাপটে, রহমানের বক্তব্য বাংলাদেশের ইতিমধ্যে জটিল রাজনৈতিক পটভূমিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তার বক্তব্য আবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ইস্যুতে এবং সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রয়োজনীয়তার দিকে আলোকপাত করেছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে তার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি অত্যাবশ্যকীয় পরিবর্তন আনতে পারে।
তবে রহমানের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা পূরণ হবে কি না সেটাই দেখার বিষয়। সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাকে দেশে ফিরে নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। রহমানকে তাদের নেতা হিসেবে দেখতে চান কি না, সেটা বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে। আপাতত, লাখ লাখ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
Please support us by visit and share your comments on:http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/
এই বাংলায় তারেক রহমানের জায়গা নেই।
তারেক রহমানের প্রধান মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা এই জীবনে আর পুরন হবে না
তোর নেতা সত্যিই যদি দেশ প্রেমিক হত তাহলে দেশ থেকে পালাইতো না
এই বাংলায় তুই আর তোর নেতাকে একদিন ফাসিতে ঝুলাবোই