সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ব্যাপক চুরির ঘটনা ঘটেছে যার ফলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি এয়ারলাইনটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে এবং এই বিশাল ক্ষতির জন্য কাকে দায়ী করা হবে তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে। সরকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মালিক হওয়ায় এ ধরনের চুরি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেকেই সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে আঙুল তুলছেন।
28 ফেব্রুয়ারী, 2019 তারিখে, জানা গেছে যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার অফিস থেকে বৈদেশিক মুদ্রা চুরির কারণে প্রায় 1.75 বিলিয়ন বাংলাদেশী টাকা (প্রায় 20.8 মিলিয়ন মার্কিন ডলার) হারিয়েছে। জানা গেছে যে একদল চোর বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে ঢুকে বিদেশী মুদ্রা চুরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা সিঙ্গাপুরের একটি ফ্লাইটে লোড করার জন্য ছিল। চোরেরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপেক্ষা করে চুরির টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল, এয়ারলাইনটিকে হতবাক ও অবিশ্বাসের মধ্যে ফেলে রেখেছিল।
এই ঘটনাটি শুধু বিমান সংস্থার আর্থিক ক্ষতিই করেনি বরং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে৷ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নজরে না এলে চোরেরা কার্গো টার্মিনালে ঢুকে এত বিপুল পরিমাণ টাকা চুরি করতে পারল কী করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এতে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জবাবদিহিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীও।
যেহেতু সরকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মালিক, তাই এয়ারলাইন্স এবং এর সম্পদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। সরকারের এখতিয়ারাধীন বিমানবন্দরে এত বড় চুরির ঘটনা ঘটতে পারে তা উদ্বেগের কারণ। সরকার এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না এবং বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ত্রুটি দূর করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তদুপরি, সরকার প্রধান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ ঘটনার দায় নিতে হবে। বিমান শিল্পের কার্যকারিতা তদারকি করা এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমস্ত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে তা নিশ্চিত করা তার কর্তব্য। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চুরির ঘটনা সরকারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এবং এ ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রী এড়াতে পারবেন না।
সরকারের উচিত অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। এয়ারপোর্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়েও তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এই ঘটনার দায় নিতে হবে এবং জাতীয় বিমান সংস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে মেগা চুরির ফলে শুধু বিশাল আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, সরকারের জবাবদিহিতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনার দায় এড়াতে পারবেন না এবং বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ত্রুটি দূর করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
Please support us by visit and share your comments on:http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/
সব সরকারের আমলের দুর্নীতি কম বেশি হয় তবে শেখ হাসিনা আমলের সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয়েছে|
তোর বাপ তারেক জিয়া ও তোর ঠাকুরমা খালেদা পুরা দেশটাই তো খেয়ে ফেলছিল।
তোদের সরকারের আমলে বাংলাদেশ তিনবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
তৃতীয় বিশ্বের সব দেশেই দুর্নীতি কম বেশি হয় তবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের তুলনায় দুর্নীতি খুবই কম|