আচ্ছা, আমার বন্ধু তালিকার কেউ কংগ্রেসের কোন নেতার সাম্প্রতিক কোন ভাষণ বা উক্তি দেখাতে পারবেন যেখানে সে বলতেছে “কংগ্রেস ভারতকে স্বাধীন করেছে” কিংবা “জওহরলাল নেহরুর জন্ম না হলে ভারত স্বাধীন হত না”?
আমি পাইনি, পাওয়ার কথাও না। কারণ কংগ্রেস একটা ম্যাচিউরড রাজনৈতিক দল। তাঁরা জানে যে একটা দেশের স্বাধীনতা শুধু একটা দলের নেতা-কর্মীরা দিতে পারে না। স্বাধীনতার সংগ্রাম একটা প্রক্রিয়া, যার জন্য দেশের আপামর জনসাধারণের সক্রিয় সমর্থন এবং অংশগ্রহণ জরুরি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কোন দল ছিল না, বরং তাঁরা ছিল তখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন। তাই স্বাভাবিকভাবেই যখন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলো তখন সবার আশা ছিল আওয়ামী লীগের নেতারাই সামনের কাতারে থাকবে লড়াইয়ের।
কিন্তু আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ ২৫শে মার্চ রাতে তাদের নিজ বাসায় কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছিলেন না। তাঁরা যে যেভাবে পেরেছে সটকে পড়েছেন, তাদের মূল নেতা পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব না দিয়ে নিজের বাসায় আত্মসমর্পন করে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আপনি আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার নাম বলেন যিনি ২৫শে মার্চের রাতে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে শহীদ হয়েছিলেন। বরং সারাদেশের মানুষকে রেখে তাঁরা পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এমনকি আপনি যদি অস্থায়ী সরকার এবং ভারতে আওয়ামী লীগের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধ “সংগঠিত” করার ইতিহাস পড়েন, দেখবেন একটা স্বাধীনতা সংগ্রামী দলের যা যা করা উচিৎ না ঠিক তা তা করেছিল তাঁরা।
প্রথমেই তাজউদ্দীন আহমদ কেন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পরিচয় দিলেন ইন্দিরা গান্ধির কাছে এবং কেন তিনি একা একা দেখা করতে গেলেন এই নিয়ে দিনের পর দিন বিতর্ক করা, এমনকি তাজউদ্দীন আহমদকে হত্যার জন্য শেখ মণির ভাড়াটে খুনি পাঠানো, খন্দকার মোশতাকের যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে পাকিস্তানি জান্তার সাথে মধ্যস্ততার চেষ্টা, কর্নেল ওসমানীর বার বার পদত্যাগের হুমকি দেয়া, মুজিব বাহিনী গঠন করে বামপন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ অসংখ্য (অ)কাজ তাঁরা করেছেন যেগুলো মুক্তিযুদ্ধের বারোটা বাজানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
আওয়ামী লীগের একের পর এক অপরিণামদর্শী পদক্ষেপের পরও দেশের সাধারণ মানুষের প্রবল আকাঙ্ক্ষা আর মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার কারণেই একাত্তরে তাঁরা পার পেয়ে গেছে।
আজকে যে তোফায়েল-ইনুরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে, একাত্তর সালে তাদের ভূমিকা ছিল কি জানেন? মোটিভেশনাল স্পিকার! জ্বি, তাঁরা ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে মোটিভেশনার স্পিচ দিতেন। এই তাদের যুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগের কাছে শুরু থেকেই ছিল একটা ব্যবসা। আজকে এমন একটা তথ্য উপস্থাপন করতে চাই, যা তাদের মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসার স্বরূপ তুলে ধরবে।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ যখন আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্র তৈরির কাজে হাত দেন তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী জাহাজ আওয়ামী লীগের পক্ষের মানুষদের কাছেই প্রথম টাকার জন্য গিয়েছিলেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান নূর তাঁকে নিয়ে বহু আওয়ামী পন্থী ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিলেন যাদের কাছে এই চলচ্চিত্র বানানোর মোট খরচ তাদের একদিনের আয়ও না। এই ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম বিএসসিও, যিনি পরবর্তীতে লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন।
কিন্তু তাদের কেউই হুমায়ূন আহমেদকে “উৎসাহ” ছাড়া কিছু দিতে পারেননি। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর এই দুর্দশার গল্প ছবি বানানোর গল্প বইতে উল্লেখ করেছেন।
এইবার একটা কুইজ দেই, হুমায়ূন আহমেদের এই চলচ্চিত্র তৈরির খরচ কে দেন?
হিন্টসঃ এই চলচ্চিত্র তৈরির পর তার সম্মানে চলচ্চিত্রটির একটা বিশেষ প্রিমিয়ারের ব্যবস্থা করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। এমনকি তিনি আগুনের পরশমণি তৈরির সময় হুমায়ূন আহমেদ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে যেসব সুবিধা পেয়েছিলেন সেগুলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন কোন খরচ ছাড়াই।
Please support us by visit and share your comments on:http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/
আপনার লেখায় কোনো সত্যতা নাই
আপনি মনগড়া লিখতেছেন।
আর কত মিথ্যাচার
আপনার লজ্জা হওয়া উচিৎ এরকম মিথ্যা বলার জন্য|
আওয়ামী লীগ না থাকলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না খানকির পোলা তুই স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করতে পারতি না।
খানকির পোলা আওয়ামী লীগের যখন জন্ম হয়েছে তোর বিএনপি তো জন্মই হয় নাই।