শেখ মুজিবকে তুলে ধরা হয় একজন ‘স্যেকুলার’ বিশ্বনেতা হিসেবে। অথচ অতীত ঘাঁটলে উঠে আসবে সম্পূর্ণ বিপরীত ইতিহাস। শেখ মুজিব তার পুরো যৌবনকাল কাটিয়েছেন মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। হিন্দু-রক্তে হাতরাঙানো হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর প্রধান চ্যালা হিসেবে দাঙ্গাবাজ শেখ মুজিবের ভূমিকাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে।
আসুন একটু অতীতে ফিরে যাওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ইংরেজ ভারত ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে পাকিস্তান তৈরির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মুসলিম লীগ। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই আগস্টের রমজান মাসের সকালে মুসলিম লীগ পাকিস্তান তৈরির ব্লুপ্রিন্ট পরীক্ষা করতে ডাক দিল প্রত্যক্ষ সংগ্রামের। ইংরেজি ভাষায় একেবারে “ডাইরেক্ট অ্যাকশান ডে” শুরু হয়ে গেল শহর কলকাতার প্রায় বারোশো জায়গায়। তার আগে প্রস্তুতিপর্ব হিসেবে কলকাতার আশেপাশের জেলাগুলিতে গিয়ে মুসলিম লীগের নেতারা মগজ ধোলাই করলেন। জেলার মুসলিম এলাকাগুলিতে গিয়ে বোঝানো হলো, প্রদেশে রয়েছে মুসলিম লীগের সরকার। সুতরাং, ভয় নেই। প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অংশ নিলে কোনো শাস্তি হবে না।
লীগ নেতাদের মগজ ধোলাইয়ের ফলে ১৫ই আগস্ট কলকাতার আশেপাশের জেলাগুলি থেকে মুসলিম লোকজন দলে দলে এসে আশ্রয় নিল কলকাতার মসজিদগুলিতে। নৌকায় করেও কিছু মুসলিম গুন্ডাবাহিনী পৌঁছে গেল কলকাতায়। অ্যাকশান শুরুর আগে শুরু হলো লীগের প্রচারপত্র বিলি। আর এই প্রচারপত্র বিলির দায়িত্বে ছিলেন ২৭ বছরের শেখ মুজিবর রহমান। ১৯৪৬-এর ১৫ ই আগস্টের মাঝরাত থেকেই গমগম করে উঠলো চিৎপুরের বড়ো মসজিদ এলাকা। ছোরা, তরোয়াল হাতে লরি ভর্তি মানুষ নামতে লাগলো। মুখে শ্লোগান— “পাকিস্তান জিন্দাবাদ। লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান।” জানা যায়, এই দাঙ্গাবাজদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মুজিব। মুসলিম লীগের চাঁদ-তারা পতাকা হাতে বোরখা পরে রাস্তায় নামলো লেডি ব্র্যাবোর্ণ কলেজের মুসলিম ছাত্রীরা।
সোহরাওয়ার্দী তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে রইলেন লালবাজার কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে।
রাজাবাজার এলাকার কিছু গোমাংসের দোকানে হিন্দু মেয়েদের হাত-পা কাটা নগ্ন দেহ মাংস ঝোলানো হুকে টাঙিয়ে রেখে তৈরি করা হলো আতঙ্কের পরিবেশ। এই সময় কলকাতা পুলিশের ডি সি হেডকোয়ার্টার ছিলেন সুরাবর্দির ঘনিষ্ঠ সামসুদ্দোহা। সামসুদ্দোহা লালবাজারে ওয়্যারলেসে গাড়ির চালকদের বুঝিয়ে দিলেন, মুজিবকে নিয়ে কখন কোথায় যেতে হবে। সেইমতো চিৎপুরে গিয়ে অস্ত্রশস্ত্র কিনে পৌঁছে দেওয়া হলো বেকার হোস্টেলে।
সুহরাওয়ার্দী নিজে বুইক গাড়িতে চেপে তাঁর ভাবশিষ্য মুজিবকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার মুসলিম এলাকায় অস্ত্র বিলি করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর এর জেরেই ১৬, ১৭, ১৮ আগস্ট— তিন দিন ধরে সারা কলকাতা জুড়ে চললো হিন্দু নিধন, ইংরেজি দৈনিক “দ্য স্টেটসম্যান” -এর ভাষায় “দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং।”
মুজিবের নিজের গ্রাম বর্তমান বাংলাদেশের টুঙ্গিপাড়াসহ ছেরামকান্দি, ডোমডাঙা এলাকার মুসলিমরা এলাকার দাঙ্গায় নেতৃত্ব দিতো। সুতরাং, দাঙ্গায় মানুষ খুনের হাতেখড়িটা মুজিবের নিজের গ্রাম টুঙ্গিপাড়াতেই হয়েছিল। টুঙ্গিপাড়া তখন ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের অন্তর্গত। এখানেই ১৭/০৩/১৯২০ মুজিবের জন্ম। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার, মা সায়রা খাতুন। তাঁদের চার কন্যা ও দুই পুত্রের মধ্যে মুজিব তৃতীয় সন্তান। তিন দিন পর রুখে দাঁড়ায় হিন্দুরা। শুরু হয় পাল্টা মার। কলকাতা বৌবাজার মলঙ্গা লেনের বাসিন্দা কুস্তিগীর গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠা হিন্দু, শিখ ও বিহারী গোয়ালাদের নিয়ে গড়ে তুললেন হিন্দু প্রতিরোধ বাহিনী। উভয়পক্ষের দাঙ্গায় অজস্র মানুষ নিহত হয়। দাঙ্গার সূচনার দায় হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী যেমন এড়াতে পারে না, সোহরাওয়ার্দীর ডান হাত শেখ মুজিবও এড়াতে পারবে না কোনোদিন, যেহেতু শেখ মুজিবের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় কোলকাতার অসংখ্য স্থানে হিন্দু হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত হয়েছে। মুছে ফেলার শত চেষ্টা হলেও ইতিহাসের দায় কেউ এড়াতে পারে না।
Please support us by visit and share your comments on:http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/
কুত্তার বাচ্চা এটা কি বললি আমাদের জাতির পিতা নিয়া ! তোরে খুন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই
মাদারচোদ তোর আর বাঁচার কোন পথ নাই
আজ পর্যন্ত বাংলার কোন মানুষ জাতির পেতে নিয়ে এভাবে কথা বলতে সাহস করে নাই| তোর জীবন শেষ
বাস্টার্ড তুই এটা কি বললি তোর গলা কাটা হবে
খানকির পোলা এবারে তুই বিদেশে লুকাইয়া পার পাবি না
খানকির পোলা তুই জাতির পিতা নিয়ে এই কথা লেখা সাহস করলে কিভাবে! এটা বাংলার জনগণ মেনে নেবে না |তোকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে
মাগির পোলা এটা কি লিখলি তোর মুখের ভিতর গরম রড ঢুকানো উচিত
কুত্তার বাচ্চা তোর নিজের মরন নিজে ডেকে আনলি বাংলার জনগণ তোরে আর বাঁচতে দেবে না
তোকে খুন করে জাতির পিতাকে অপমান করার বদলা নেয়া হবে
খানকি মাগির পোলা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত পালাইয়া ও রেহাই পাবিনা