সাংবাদিকতায় ছিন্নমূল সমস্যা বাংলাদেশে একটি ব্যাপক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত সুবিধা অর্জনের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের অত্যধিক প্রশংসা এবং তোষামোদ করাকে বোঝায়। এটা দীর্ঘদিন ধরে দেশে উদ্বেগের বিষয়, বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে। সম্প্রতি, হাসিনার সাথে একটি সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, ক্ষোভ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গেছে সাংবাদিকরা স্ক্রিপ্টযুক্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন যার উদ্দেশ্য ছিল জাতির মুখোমুখি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি সমাধানের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীকে মহিমান্বিত করা। একটি প্রধান সমস্যা যা সমাধান করা উচিত ছিল তা হল বাংলাদেশের সংগ্রামী অর্থনীতি। দেশটি উচ্চ মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন এবং একটি বিশাল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের কাছে কঠিন প্রশ্ন তোলার পরিবর্তে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা হাসিনার প্রশংসা করতেই বেশি আগ্রহী বলে মনে হয়। এটা দেখে হতাশাজনক যে, যে দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মতো মৌলিক চাহিদা সবার জন্য সহজলভ্য নয়, সেখানে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীর তোষামোদ করার দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন। এটি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব এবং সততার অভাবকে তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনটি একটি মর্মান্তিক মোড় নেয় যখন একজন সাংবাদিক নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্বাসঘাতক এবং অর্থপাচারকারী হিসাবে চিহ্নিত করেন। এই ঘটনাটি তুলে ধরেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিপজ্জনক ছলচাতুরির মাত্রা। সরকার এবং এর সমর্থকরা তাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করে তাদের অসম্মান ও বদনাম করছে।
একইভাবে উদ্বেগের বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের এ ধরনের অপকর্মে জড়িত থাকার বিষয়টি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সমাধান করার পরিবর্তে, তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রশংসা এবং রক্ষা করার উপায় হিসাবে প্রেস কনফারেন্স ব্যবহার করছে। ক্ষমতার এই নির্লজ্জ অপব্যবহার শুধুমাত্র সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে না বরং মিডিয়ার অখণ্ডতাকেও ক্ষুণ্ন করে।
এটা লক্ষণীয় যে শেখ হাসিনাই একমাত্র বিশ্বনেত্রী নন যিনি ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, অনেক বিশ্ব নেতা ও সংস্থা সহিংসতার নিন্দা করেছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। তাই সাংবাদিকের ভিত্তিহীন বক্তব্য শুধু মিথ্যা তথ্যই ছড়ায় না, যারা সংকটের সমাধান খোঁজার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে তাদেরও অসম্মান করে।
আরও উদ্বেগজনক বিষয় হল সাংবাদিকের দাবির পেছনে প্রমাণ বা গবেষণার অভাব। সাংবাদিকদের দায়িত্ব হল সত্য রিপোর্ট করা, ভিত্তিহীন অভিযোগ নয় যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং ব্যক্তি ও দেশের সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সাংবাদিকদের ভূমিকা জনগণের কণ্ঠস্বর হওয়া, কঠিন প্রশ্ন করা এবং ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের জবাবদিহি করা। তবে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা সরকারের ব্যক্তিগত অনুগ্রহ লাভের মাধ্যম হয়ে উঠেছে বলে মনে হয়। এতে শুধু গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাই ক্ষুণ্ন হয় না, দেশের অগ্রগতিতেও বাধা সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ছদ্মবেশের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করার সময় এসেছে। গণমাধ্যমকে জনমতকে চালিত করার হাতিয়ার হওয়া উচিত নয়, বরং নিরপেক্ষ ও সত্যনিষ্ঠ প্রতিবেদনের প্ল্যাটফর্ম হওয়া উচিত। তবেই গণমাধ্যম সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রহরী হিসেবে কাজ করতে পারে এবং দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় ছদ্মবেশী সমস্যা একটি চাপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি সাম্প্রতিক ভিডিও যা ভাইরাল হয়েছে, শেখ হাসিনার সাথে একটি সংবাদ সম্মেলনের চিত্রিত করা হয়েছে, এটি একটি প্রধান উদাহরণ যে কীভাবে সাংবাদিকরা তাদের নজরদারি হিসাবে ভূমিকা পালন করার পরিবর্তে সরকারের চাটুকারিতা এবং প্রশংসার দিকে বেশি মনোযোগী। মিডিয়ার পক্ষে তাদের সততা পুনরুদ্ধার করা এবং কর্তৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের জন্য নিছক মুখপত্র হওয়ার চেয়ে জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Please support us by visit and share your comments on: http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/
তুই একটা ছাগল । সবকিছুতেই প্রধান মন্ত্রীর দোষ খোঁজছ।
ভাই সাংবাদিকদের ও জীবনের মায়া আছে । তাই সব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যায় না ।
তুই কি ডঃ ইউনুসের জারজ সন্তান? তার দুর্নীতি কেন চোখে পরেনা।
আমি তোর সব লেখা ই দেখি । সবসময় আমাদের নেত্রীকে নিয়ে কুৎসা রটাস – যা দেখে মাথায় রক্ত উঠে । পাইলে তোকে খুন করে ফেলতাম।
ভাই সাংবাদিকদের কিছু করার নাই । ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে তাদের হাত পা বাধা।
পারলে বাংলাদেশে এসে সাংবাদিকতা কর । বিদেশে পলাইয়া থেকে বড় বড় ডায়ালগ মারোস
তুই আমাদের নেত্রীর কোন উন্নয়ন না দেখে শুধু দোষ খুঁজে বেড়াস.. পারলে একবার দেশে আয় তারপর দেখ তোকে কি করি..
ভাই আপনি বাংলাদেশের বাহিরে থাকেন তাই এত বড় বড় কথা বলেন. আপনাকে বুঝতে হবে যারা বাংলাদেশে থেকে সাংবাদিকতা করে তাদের পক্ষে সবকিছু বলা সম্ভব নয়
ভাই আপনার কথাগুলোর সাথে আমি সহমত পোষণ করছি কিন্তু বাংলাদেশে বসে এগুলো লেখা খুবই অসম্ভব
তুই বললি আমাদের নেত্রী স্বজন প্রীতি এবং অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয় এমন একটা জিনিস দেখা যেখানে স্বজন প্রীতি এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছে
রাম ছাগলের বাচ্চা তুই দেশে আসবি কবে ?তোকে পেলে আমি তোর দেহ থেকে মাথা আলাদা করে ফেলব