An it expert with fake it degree
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় সব ভুল কারণেই শিরোনাম হয়েছেন। তার কথিত জাল আইটি ডিগ্রি থেকে তার রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, আমেরিকায় অর্থ পাচার এবং মহিলাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক, জয় বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন যা তার চরিত্র এবং সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই প্রবন্ধে, আমি জয়কে তার ক্রিয়াকলাপের জন্য সমালোচনা করব এবং তারা দেশ ও এর জনগণের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তার উপর আলোকপাত করব।
জয়ের ভুয়া আইটি ডিগ্রি দিয়ে শুরু করা যাক। 2009 সালে, জয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি পেয়েছেন বলে দাবি করেন। যাইহোক, পরে তদন্তে জানা যায় যে ডিগ্রিটি জাল এবং তিনি কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হননি। এই প্রকাশ শুধু জয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই সন্দেহের জন্ম দেয়নি বরং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার যোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য হিসেবে জয়কে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টাসহ অসংখ্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে ব্যক্তি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে তাকে কীভাবে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া যেতে পারে? এটা স্বজনপ্রীতির একটি স্পষ্ট ঘটনা এবং মেধাতন্ত্রের উপহাস।
জয়ের রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার আরেকটি বড় উদ্বেগের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নে হওয়ার কারণে তিনি দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রভাব বিস্তার ও পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছেন। 2013 সালে, জয়কে বাংলাদেশে 500 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য তার রাজনৈতিক সংযোগ ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এটি নিলাম প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ উত্থাপন করেছিল, যা শেষ পর্যন্ত চুক্তি বাতিলের দিকে পরিচালিত করেছিল। ক্ষমতার এ ধরনের নির্লজ্জ অপব্যবহার শুধু দেশের গণতান্ত্রিক নীতিকেই ক্ষুণ্ন করে না, এর অগ্রগতি ও উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্ত করে।
জয়ের সম্পর্কে সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রকাশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের অভিযোগের আকারে এসেছিল। 2017 সালে, নিউইয়র্কের একটি আদালত দুই বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে সরকারি চুক্তির জন্য জয়কে ঘুষ দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। জয় ও তার সহযোগীদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের শেল কোম্পানির মাধ্যমে লাখ লাখ ডলার পাচারের কথা স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা। এটা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের জনগণ তার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। এটি একটি লজ্জাজনক কাজ যা দেশ ও এর নেতৃত্বের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।
আর্থিক অপরাধে জড়িত থাকার পাশাপাশি জয়ের বিরুদ্ধে নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগও রয়েছে। 2017 সালে, একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান মহিলা জয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন, দাবি করেছিলেন যে তিনি তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তারপরে তাকে ত্যাগ করেছিলেন। মহিলা আরও অভিযোগ করেছেন যে জয় তাকে যৌন হয়রানি করেছিলেন এবং সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে গেলে তাকে ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিয়েছিলেন। এই ধরনের কেলেঙ্কারিতে জয়ার নাম জড়ানো এই প্রথম নয়। 2014 সালে, তাকে একজন বাংলাদেশী মডেলের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, যা জনসাধারণের প্রতিবাদ করেছিল এবং তাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিল। এই ঘটনাগুলো শুধু জয়ের চরিত্রকেই প্রতিফলিত করে না বরং দুর্বল নারীদের শোষণ করার ক্ষমতার অপব্যবহারকেও তুলে ধরে।
পরিশেষে বলা যায়, সজিব ওয়াজেদ জয়ের কর্মকাণ্ড ও আচরণ অসম্মানজনক কিছু ছিল না। তার জাল আইটি ডিগ্রি, রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ পাচারে জড়িত থাকা এবং মহিলাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক তার নৈতিকতা ও নীতিবোধের অভাবের স্পষ্ট প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে জয়ের উচিত ছিল অন্যদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। তবে তার কর্মকাণ্ড দেশের জন্য লজ্জা ও বিব্রত বয়ে এনেছে। এখন সময় এসেছে যে তাকে তার অন্যায়ের জন্য জবাবদিহি করা হবে এবং ন্যায়বিচার পরিবেশন করা হবে। বাংলাদেশের জনগণ এমন নেতাদের প্রাপ্য যারা সৎ, নীতিবান এবং হৃদয়ে জাতির সর্বোত্তম স্বার্থ রাখে, জয়ের মতো ব্যক্তি নয় যারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত হয়।
Please support us by visit and share your comments on:http://onlinebdpolitics.com and https://daily-nobojug.com/
তুই কি গাঁজাখোর ?তোর কি আজকে গাজার পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে ?তাই তুই আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আইটি ডিগ্রিটি জাল বলতেছিস
এখন আমি তোর বাপের কেলেঙ্কারি উন্মোচন করব. তুই কোত্থেকে আসলি?
খানকির পোলা তুই এখন আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই এর বিরুদ্ধে লেগেছিস, তোকে গুলি করে মারব